আজও শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ঈদ উপলক্ষে নারীর টানে পরিবার পরিজনদের নিয়ে গ্রামে ফিরছেন হাজারো মানুষ। যদিও সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মানার বালাই নেই কারও মধ্যে। গাদাগাদি করে ফিরছেন গ্রামে।
গত কয়েকদিন থেকেই ঘাটগুলোতে জনস্রোত চোখে পড়ার মতো। গতকাল বৃহস্পতিবার বিপুল পরিমাণ মানুষের সমাগম দেখা গেছে শিমুলিয়া ঘাটে। এমনকি অতিরিক্ত মানুষের চাপে ও গরমে ফেরিতেই মারা গেছেন কয়েকজন। তারপরও ফিরতেই হবে গ্রামে।
গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ বৃহস্পতিবারও ব্যাতিক্রম না। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ভোর থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী হাজার হাজার যাত্রীর ঢল, যানবাহনের উপচে পড়া ভীড় দেখতে পাওয়া গেছে। সকাল থেকেই পারের জন্য শিমুলিয়া ঘাটে হাজার হাজার মানুষ ও শতশত ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষায় রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, সকাল থেকেই ঘাটে যানবাহনসহ যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়ছে।
তিনি আরও জানান, ঈদকে কেন্দ্র করেই দক্ষিণবঙ্গ গামী যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের বর্তমানে বহরে থাকা ১৫টি ফেরি দিয়েই দিনে ও রাতে যাত্রী পারাপার করানো হচ্ছে। শিমুলিয়ার ১-২-৩ নাম্বার ঘাটে রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক মোহাম্মদ সোলেমান জানান, শিমুলিয়া ঘাট থেকে নিষেধ অমান্য করে ট্রলার যোগে যাত্রী পারাপার চলছে। সকাল থেকেই ৩০ থেকে ৪০টি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার চলাচল করতে দেখা গেছে। এ নৌরুটে ট্রলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পাড়ি জমাচ্ছেন।